আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত তাজরিন ফ্যাশনসে আবার কাজ শুরুর নিশ্চয়তা না থাকায় বেতনের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বুধবার বেলা ১টার দিকে টঙ্গীর শিল্প সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ (আইআরআই) মাঠে এক শ্রমিকের হাতে বেতন ও ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন।
এরপর ওই মাঠে ১৮টি বুথে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ডিসেম্বর মাসের বেতন, ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া টাকা নেয়া শুরু করেন শ্রমিকরা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানার নিয়মিত ৯৯০ জন ও চাকরি ছেড়ে দেয়া ৩২৪ জনসহ মোট এক হাজার ৩১৪ জন শ্রমিকের পাওনা এদিন পরিশোধ করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম ও বিজিএমইএ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কোনো শ্রমিক বিজিএমইএর মাধ্যমে কোনো কারখানায় কাজ পেতে চাইলে তার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রম আইন অনুযায়ী তাজরিনের পুরনো শ্রমিকদের প্রত্যেককে নভেম্বরের বকেয়া বেতন সঙ্গে ক্ষতিপূরণ হিসাবে এক মাসের বেতন, ওভার টাইম ও ছুটির টাকা দেয়া হয়েছে। পদ ও চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতে এই অর্থের পরিমাণ ছিল দুই হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকার মতো।
আর যাদের চাকরির বয়স তিন মাসের কম, তাদের দেয়া হয়েছে অন্যূন ১ হাজার টাকা করে।
মঙ্গলবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তাজরিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা না হলেও কতোদিনে চালু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই লে আউট সুবিধার পরিবর্তে শ্রমিকদের ছাঁটাই সুবিধা দেয়া হবে।
সে অনুযায়ী বেতন দেয়ার জন্য সকালে সাভারের নিশ্চিন্তপুর থেকে শ্রমিকদের বিজিএমইএর বাসে করে টঙ্গীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৪ নভেম্বর তুবা গ্রুপের ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর বাইরেও অনেকে নিখোঁজ বলে দাবি রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৬ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ক্ষতিপূরণের চেক নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
0 মন্তব্য:
Post a Comment
আপনার মতামত দিন