আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত তাজরিন ফ্যাশনসের কর্মীরা বেতন নিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে গিয়েছেন। সেখানে শিল্প সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ (আইআরআই) মিলনায়তনে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।
বুধবার সকাল থেকেই নিশ্চিন্তপুরে কারখানার পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন শ্রমিকরা।
শিল্প পুলিশের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ খান জানান, বেলা ১১টার দিকে প্রায় পুরো মাঠ জুড়ে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। সোয়া ১১টার দিকে বিজিএমইএর ২০টি বাসে করে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা।
টঙ্গীতে আইআরআই মিলনায়তনে পোশাক শিল্প মালিক নেতা এবং শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে মঙ্গলবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রম আইন অনুযায়ী পুরনো শ্রমিকদের প্রত্যেককে এক মাসের বেতনের সঙ্গে ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা করে দেয়া হবে। নতুন শ্রমিকরা পাবেন ১ হাজার টাকা করে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আশুলিয়ার ওই কারখানার শ্রমিকদের গত ১ ডিসেম্বর বকেয়া বেতন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকের তালিকা নিয়ে সন্দেহ ওঠায় তা দেয়া যায়নি বলে মন্ত্রী পরদিন জানিয়েছিলেন।
শ্রমিকদের তালিকা যাচাই করে নতুন তালিকা করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার ৯৯০ জন শ্রমিকের তালিকা চূড়ান্ত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেহেতু তাজরিন কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা না হলেও কতদিনে চালু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই লে আউট সুবিধার পরিবর্তে শ্রমিকদের ছাঁটাই সুবিধা দেয়া হবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শ্রমিকরা এক মাসের বেতনের সঙ্গে শ্রম আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।
যে সব শ্রমিকের চাকরির বয়স তিন মাসের কম, তারা পাবেন ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং তিন মাসের বেশি যাদের চাকরির বয়স, তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা করে।
তবে তাজরিনের শ্রমিকরা চার মাসের বেতন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
গত ২৪ নভেম্বর তুবা গ্রুপের ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর বাইরেও অনেকে নিখোঁজ বলে দাবি রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৬ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ক্ষতিপূরণের চেক নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
0 মন্তব্য:
Post a Comment
আপনার মতামত দিন