বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ২২৮ রান।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২২৭ রান করে বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও আনামুল হক। ১৩তম ওভারে সুনীল নারায়ণের বল কাট করতে গিয়ে তামিম ইকবাল উইকেটরক্ষক ডেভন থমাসের হাতে ধরা পড়লে ভাঙ্গে ৫৭ রানের আত্মবিশ্বাসী উদ্বোধনী জুটি। এক বল পরেই শর্ট কাভারে কাইরন পোলার্ডের সহজ ক্যাচে পরিণত করে নাঈম ইসলামকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি।
পরের ওভারে ফিরে আগের ম্যাচে শতক করা আনামুলক বিদায় করে স্বাগতিকদের বড় একটা ধাক্কা দেন সুনীল। এক বল আগে ক্যাচ দিলেও নো বলের সৌজন্যে জীবন পাওয়া আনামুল সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। এর আগে ব্যক্তিগত ৮ রানে রবি রামপলের বলে ড্যারেন ব্রাভোর হাতেও একবার জীবন পান ৩৩ রান করা এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
অভিষিক্ত বীরাসামি পারমল নাসির হোসেনকে (৬) শর্ট কাভারে পোলার্ডে পরিণত করলে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনারের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ৫৭/০ থেকে বাংলাদেশ পরিণত হয় ৭৮/৪-এ।
পঞ্চম উইকেটে মুমিনুল হকের (১২) সঙ্গে ৩২ ও ষষ্ঠ উইকেটে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫৮ রানের দুটি কার্যকর জুটি গড়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
৫ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে পাওয়ার প্লেতে যাওয়া বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন মুশফিকই। পাওয়ার প্লের (৩৬তম) প্রথম ওভারের শেষ বলে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিকের (৩৮) বিদায়ে দিক হারায় বাংলাদেশ। এগারো বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে মাশরাফির বিদায়ে পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪ রান তোলে তারা।
অষ্টম উইকেটে সোহাগ গাজীর সঙ্গে মাহমুদুল্লাহর ৩৯ রানের জুটির সৌজন্যে দুশ পেরুয় বাংলাদেশ। সপ্তম অর্ধশতকে পৌঁছে মাহমুদুল্লাহ বিদায় নেয়ার আগে করেন ৫২ রান। তার ৭০ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা।
তার বিদায়ের পর প্রায় একাই খেলতে হয়েছে সোহাগকে। দলীয় ২২৭ রানে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেয়ার আগে তিনি করেন ৩০ রান।
৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার সুনীল। এছাড়া পারমল (২/৪০) ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি (২/৪৬) দুটি করে উইকেট নেন।
0 মন্তব্য:
Post a Comment
আপনার মতামত দিন